অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে এখন প্রতি সেকেন্ডে মৃত্যুর নতুন সংখ্যা তৈরি হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর পর্যন্ত তুরস্কে লাশ উদ্ধার হয়েছে ১২ হাজার ৮৭৩টি আর সিরিয়ায় উদ্ধার হয়েছে ২,৯৯২টি। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে হতাহত কিংবা জীবিতদের বের করে আনার জন্য উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান গতকাল (বুধবার) মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত কাহরামানমারাস শহর পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তেমন কোনো ঘরবাড়ি আর আস্ত নেই। বাসিন্দাদের প্রায় সবাই খোলার আকাশের নিচে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। এরদোগান সেখানে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার ঘাটতির কথা স্বীকার করেন তবে তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন যে, কেউই রাস্তায় থাকবে না।
তুরস্কে এ পর্যন্ত ত্রিশটিরও বেশি দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে এবং স্থানীয়দের সাথে মিলেমিশে তারা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো অনেক জীবিত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে রয়েছে এবং অনেকে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া কিংবা আটকে থাকা স্বজনদের উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করছে কিন্তু ধ্বংসযজ্ঞ এত বেশি এবং বিস্তৃত যে, অনেক জায়গায় এখনো তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর ৭২ ঘণ্টার বেশি পেরিয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া জীবিতদের উদ্ধারের ব্যাপারে আশা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে এসেছে। গতকাল তুরস্কের হাতায় শহরের বিধ্বস্ত একটি ভবনের নিচ থেকে একসঙ্গে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধারকারীরা বলছেন, প্রতিমুহূর্তে যেভাবে লাশ বের হচ্ছে তাতে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার থেকে দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।এদিকে, সিরিয়ায় ক্ষয়ক্ষতিও ব্যাপক হয়েছে কিন্তু সেভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান, রাশিয়া ও লেবাননের হিজবুল্লাহ ছাড়া বিশ্বের তেমন কোনো দেশ সিরিয়ায় ত্রাণ এবং উদ্ধারকারী দল পাঠায়নি।#
Leave a Reply